ফরাসি রাজা ষোড়শ লুই বুর্জোয়াদের প্রবল চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এবং তিন সম্প্রদায়ের একত্রে অধিবেশন ও মাথাপিছু ভোটের দাবি মেনে নেন। এই ঘটনা ফ্রান্সের জনসাধারণের মনে তীব্র আন্দোলন সৃষ্টি করেছিল।
রাজার পদক্ষেপ ঃ প্রবল চাপে পড়ে ষোড়শ লুই বুর্জোয়াদের দাবী মেনে নেন কিন্তু তিনি মন থেকে কখনোই এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। তিনি প্যারিস ও ভার্সাই-এ প্রায় ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন করেন এবং এরপর তিনি জনপ্রিয় অর্থমন্ত্রী নেকারকে পদচ্যুত করেন ২২ জুলাই। এই ঘটনায় প্যারিসের উন্মত্ত জনতা হিংসার পথে পা বাড়ায়। রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি হয়, জনতা অস্ত্রের দোকান ও গির্জাগুলোতে লুণ্ঠন চালালে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
প্যারিসের পরিস্থিতি ঃ এই অরাজকতা পরিস্থিতির মধ্যে খাদ্যের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ গ্রাম থেকে এসে প্যারিসের উত্তেজিত সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলিত হয়। যার ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। সশস্ত্র জনতা বহু সরকারি দপ্তরে আক্রমণ চালায় এবং বহু নথিপত্র পুড়িয়ে দেয়। সাথে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে। এরপর ৭-৮ হাজার মানুষ ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুলাই কুখ্যাত বাস্তিল দুর্গের রক্ষীদের হত্যা করে দুর্গটি দখল করে নেয় এবং বন্দীদের মুক্ত করে দেয়।
ফ্রান্সের চরম স্বৈরতন্ত্রের প্রতীক বাস্তিল দুর্গের পতন গোটা বিশ্বের একটা যুগের পতন ঘটায়। ঐতিহাসিক গুডউইন বলেছেন, বাস্তিল দুর্গের পতনের ঘটনা সমগ্র বিশ্বে স্বাধীনতার উন্মেষকাল হিসেবে চিহ্নিত।