প্রিয় বন্ধুরা, আজ আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করব "পেশোয়া তন্ত্রের উদ্ভব কীভাবে হয়েছিল" - সেই বিষয়টি।
পেশোয়া তন্ত্রের উদ্ভব -
ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ধ্বংসের পর সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর তৎকালীন সময়ে যে সকল আঞ্চলিক শক্তির উদ্ভব ঘটেছিল, সেগুলোর মধ্যে মারাঠা- শক্তিকে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়। মারাঠা বীর ছত্রপতি শিবাজী বিচ্ছিন্ন মারাঠা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে যে মারাঠা রাজ্যের সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর প্রায় ক্রমেই তা বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আবার কিছু সময় পর মারাঠা শক্তি পুনর্জীবিত হয়েছিল। এই উত্থানের পিছনে প্রধানত কয়েকজন প্রধান নায়ক এবং তৎকালীন কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী বা পেশোয়া-দের অবদান ছিল। শিবাজীর সময়ও এই 'পেশোয়া ' পদ ছিল। কিন্তু তা ছিল মূলত শিবাজী ছত্রপতির ছত্রছায়ায় ঢাকা। ছত্রপতি শিবাজীর মৃত্যুর পর মারাঠা রাষ্ট্রসঙ্ঘের যে ভাঙন ঘটেছিল তা থেকে আপন আত্মত্যাগ, প্রেরণা ও কর্মদক্ষতার দ্বারা কয়েকজন পেশোয়া আবার সজীব ও সচল করে তোলে। ধীরে ধীরে মারাঠা রাষ্ট্রসঙ্ঘে পেশোয়ারা নিজেদের প্রাধান্য বাড়াতে থাকে এবং তারাই প্রধান চালক হিসেবেপরিণত হন। সাম্রাজ্যের রাজারা তাদের আড়ালেই থেকে যান। এভাবেই মারাঠা রাষ্ট্রসঙ্ঘে পেশোয়াদের প্রাধান্য বাড়তে থাকে এবং ধীরে ধীরে 'পেশোয়া তন্ত্রের ' উদ্ভব ঘটে। মারাঠা ইতিহাসে এই যুগ পেশোয়াদের যুগ নামে খ্যাত।