হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ ও অপসারণ সম্পর্কে লেখ

 হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ ও অপসারণ -

ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময়, প্রতিটি অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে একটি করে হাইকোর্ট থাকার কথা বলা হয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে সংবিধান সংশোধন করে বলা হয় যে, দুই বা তার বেশি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য একটি হাইকোর্ট থাকতে পারে, তবে এব্যাপারে পার্লামেন্টের অনুমোদন দরকার। 

     ভারতীয় সংবিধানের ২১৫ নং ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট গঠনের কথা বলা হয়। যেখানে একজন প্রধান বিচারপতি এবং আরও কয়েকজন অন্যান্য বিচারপতি থাকবে। তবে ঠিক কতজন বিচারপতি থাকতে পারেন এব্যাপারে সংবিধানে কিছু বলা নেই। সংবিধান অনুসারে হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণ করেন রাষ্ট্রপতি। বিভিন্ন হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা বিভিন্ন হতে পারে। হাইকোর্টের বিচারপতিরা তাদের ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত নিজপদে আসীন থাকতে পারেন। কিন্তু কোন বিচারপতির কার্যকাল শেষ হওয়ার পূর্বে যদি তিনি কোন অসৎ কাজ অথবা সংবিধান বিরোধী কাজ করেন তাহলে সেই বিচারপতিকে ইমপিচমেন্ট পদ্ধতিতে অপসারণ বা পদচ্যুত করা হয়।

     ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের নিয়ন্ত্রনে থেকেও দুর্নীতি দমন, ন্যায়বিচার, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা ইত্যাদির ক্ষেত্রে হাইকোর্টগুলি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। ফলে হাইকোর্টের ওপর জনগণের বিশ্বাস আছে যা হাইকোর্টের মর্যাদা মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post