ভিয়েনা সম্মেলনের পটভূমি / প্রেক্ষাপট -
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে চতুর্থ শক্তিজোটের কাছে লাইপজিগের যুদ্ধে পরাজিত হলে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়নকে ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে ভূমধ্যসাগরের এলবা দ্বীপে নির্বাসন করা হয়। এর পরের বছর অর্থাৎ ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে বিজয়ী শক্তিবর্গ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত করে। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। নিন্মে ভিয়েনা সম্মেলনের পটভূমি বা প্রেক্ষাপট আলোচনা করা হল -
জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা ঃ নেপোলিয়ন-বিজয়ী ইউরোপের রাজতান্ত্রিক শক্তিগুলি নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করতে থাকে। এই দেশগুলি ইউরোপে জাতীয়তাবাদের অগ্রগতি রোধ করে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে প্রয়াস চালায়।
ভূখণ্ডের পুনরুদ্ধার ঃ সাম্রাজ্য লোভী নেপোলিয়ন তাঁর তীব্র সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে ইউরোপের বিভিন্ন ভূখণ্ড দখল করে ফরাসি সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছিল। লাইপজিগের যুদ্ধের পর বিজয়ী শক্তিবর্গ নেপোলিয়নের বিজিত স্থানগুলি পুনর্দখল করে তা ন্যায্য প্রাপকদের ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
ন্যায্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠা ঃ নেপোলিয়ন ক্ষমতা লাভের পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বৈধ শাসককে সিংহাসনচ্যুত করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বিজয়ী শক্তিবর্গ পুনরায় সেসব দেশে ন্যায্য রাজবংশগুলিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
মূল্যায়ন ঃ নেপোলিয়নের শাসনকালে ইউরোপের মানচিত্রের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছিল। এই পরিবর্তনকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্যই ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন -