মেটারনিকের সাফল্যের কারণ -
অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স মেটারনিক ইউরোপীয় রাজনীতিতে অস্ট্রিয়ার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা এবং ইউরোপে রক্ষণশীল এবং প্রতিক্রিয়াশীল আদর্শের প্রসারে তাঁর নীতি চালু করেছিলেন। যা মেটারনিক ব্যবস্থা নামে পরিচিত। মেটারনিক তাঁর নীতি গুলি কার্যকর করতে সফল হয়েছিলেন। নিন্মে মেটারনিকের সাফল্যের কারণ গুলি আলোচনা করা হল -
বিবাহ ঃ মেটারনিখ অস্ট্রিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কাউন্ট কৌনিকের পৌত্রীকে বিবাহ করেছিলেন। এর ফলে অস্ট্রিয়ার প্রশাসনিক ব্যবস্থায় মেটারনিক সহজেই তাঁর জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন।
গুণাবলি ঃ সুদর্শন, সুবক্তা, মার্জিত রুচি, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং বহুগুণের অধিকারী মেটারনিক যে কোন জটিল বিষয় খুব সহজে প্রকাশ করে সকলকে আকৃষ্ট করতে পারতেন। যা তাঁর সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারণ।
অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঃ মেটারনিক তৎকালীন শক্তিশালী রাষ্ট্র অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী বা চ্যান্সেলর পদে থাকাকালীন ইউরোপীয় রাজনীতিতে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছিলেন।
নেপোলিয়ন বিজেতা ঃ ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে লাইপজিগের যুদ্ধে নেপোলিয়নের পরাজয় এবং ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়নের পতনের পিছনে মেটারনিকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এই কারণ গোটা ইউরোপে মেটারনিকের মর্যাদা বৃদ্ধি ঘটেছিল। এরফলে মেটারনিক গর্বের সাথে নিজেকে নেপোলিয়ন বিজেতা বলতেন।
কূটনৈতিক দক্ষতা ঃ মেটারনিকের সময়ে তাঁর মত কূটনীতিক গোটা ইউরোপে ছিল না বললেই চলে। তিনি কূটনীতিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই কারণে মেটারনিককে কূটনীতির রাজকুমার বলা হয়।
অহমিকা ঃ অহংকারী এবং ষড়যন্ত্রপরায়ণ মেটারনিক চরম বিপদের সময়েও নিজের পথকেই সঠিক বলে মনে করতেন। তাঁর এই সীমাহীন আত্মবিশ্বাস তাঁর সাফল্যের কারণ হিসাবে পরিচিত হয়েছে।
মূল্যায়ন ঃ ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের সময়কালের মধ্যে ইউরোপের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে মেটারনিক তাঁর কঠোর হাতে প্রগতিশীল বিদ্রোহগুলি দমন করেছিলেন। তিনি বলতেন আমি যেখানেই থাকি সেখানে সকলের দৃষ্টি আমার দিকে থাকে।
আরও পড়ুন ঃ