ভিয়েনা কংগ্রেস / সম্মেলনের সমস্যা -
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যবাদী নীতির ফলে ইউরোপের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। লাইপজিগের যুদ্ধে নেপোলিয়নকে পরাজিত করে এলবা দ্বীপে নির্বাসন দেওয়ার পর বিজয়ী শক্তিবর্গ ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এটি ভিয়েনা সম্মেলন নামে পরিচিত। এই সম্মেলনের কিছু সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। যেমন -
ইউরোপের পুনর্গঠন ঃ নেপোলিয়নের নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী নীতির ফলে ইউরোপের রাজনৈতিক কাঠামোর যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছিল তার পুনর্গঠন করা।
রাজবংশের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঃ নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যবাদী নীতির ফলে ইউরোপের অনেক দেশের বৈধ শাসকরা সিংহাসনচ্যুত হয়েছিলেন। এই রাজবংশগুলির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
শক্তিসাম্য ঃ ইউরোপে ভবিষ্যতে শক্তিসাম্য নীতি বজায় রাখা।
ক্ষতিপূরণ ঃ নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামে যেসব দেশের ক্ষতি হয়েছিল তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।
ফরাসি প্রতিরোধ গড়ে তোলা ঃ ভবিষ্যতে ফ্রান্স যাতে পুনরায় তার শক্তি বৃদ্ধি করে ইউরোপের শান্তি নষ্ট করতে না পারে তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করা।
চুক্তির স্বীকৃতি ঃ নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন দেশের মধ্যে গোপন চুক্তিগুলির স্বীকৃতি প্রদান করা।
নতুন শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা ঃ ইতালি, জার্মানি ও পোল্যান্ডে নেপোলিয়ন যে শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন তা ভেঙে নতুন করে শাসনব্যবস্থা গঠন করা।
ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ঃ রাইন, ব্যাভেরিয়া, স্যাক্সনি প্রভৃতি অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা।
মূল্যায়ন ঃ নেপোলিয়নের ফলে ইউরোপের পূর্বতন রাজবংশগুলির যে পরিবর্তন ঘটেছিল তার পুনঃস্থাপন, ইউরোপের রাজ্যসীমা পুনর্গঠন ইত্যাদি সমস্যা গুলির সমাধানের চেষ্টা করে ভিয়েনা সম্মেলন। কিন্তু বাস্তবে ভিয়েনা সম্মেলনের এই উদ্যোগগুলি ব্যর্থ হয়।