সমাজতন্ত্রবাদ -
'সমাজতন্ত্রবাদ' কথাটির প্রথম প্রচলন করেছিলেন রবার্ট ওয়েন। সম্পত্তির ওপর ব্যক্তিগত মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা, ন্যায্য অধিকার ও আয় বণ্টনের সাম্য প্রতিষ্ঠার ভাবধারাকে সাধারণভাবে 'সমাজতন্ত্রবাদ' বলা হয়। ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার নির্মম শোষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই সমাজতন্ত্রের ভাবধারার জন্ম হয়েছে। এই মতবাদের মূল কথা হল দেশের শ্রমিক শ্রেণির কল্যাণ।
কার্ল মার্কসের দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ নীতি -
কার্ল মার্কসের মতে প্রতিটি ঘটনা বা পরিস্থিতির মধ্যে তিনটি শক্তি রয়েছে। যথা -
(i) থিসিস ঃ রক্ষণশীল শক্তি
(ii) অ্যান্টি থিসিস ঃ পরিবর্তনশীল শক্তি
(iii) সিন্থেসিস ঃ থিসিস এবং অ্যান্টি থিসিসের পরস্পর বিরোধী শক্তির মধ্যে সামঞ্জস্যকারী শক্তি।
কার্ল মার্কসের মতে কোন সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে স্ববিরোধিতা না থাকলে সেটি স্থায়ী হবে না। এর উদাহরণরূপে কার্ল মার্কস বলেছেন, তৎকালীন বুর্জোয়ারা ছিল থিসিস এবং শোষিত শ্রমিক শ্রেণি ছিল অ্যান্টিথিসিস। এই দুই শ্রেণির সংঘাতের ফলে যে সিন্থেসিস তৈরি হল তা শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। মার্কসের এই মতবাদই 'দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ' নামে পরিচিত।
মূল্যায়ন ঃ ঐতিহাসিক ডেভিড টমসনের মতে ইতিহাস কখনো ছক-বাধা পথে চলে না। ইতিহাসের গতিপথের ওপর ঐতিহাসিকরাই ছক ছাপিয়ে দেন। তাই দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের ছকবাধা পথ ইতিহাসের একমাত্র চাবিকাঠি হতে পারে না বলে অনেকেই মনে করেন।