মেটারনিক ব্যবস্থা কার্যকর করতে মেটারনিকের পদক্ষেপ -
ইউরোপীয় রাজনীতিতে অস্ট্রিয়ার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার জন্য অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স মেটারনিক অস্ট্রিয়া-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তার রক্ষণশীল নীতি বাস্তবায়ন করেছিলেন। এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তিনি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন সেগুলি হল -
আধুনিক ভাবধারা প্রতিরোধ ঃ ফরাসি বিপ্লব প্রসূত বিভিন্ন ভাবধারা যেমন গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, উদারতন্ত্র ইত্যাদি আধুনিক ভাবধারা গুলিকে ধ্বংস করার জন্য মেটারনিক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
ন্যায্য অধিকার নীতি ঃ ভিয়েনা সম্মেলনের ন্যায্য অধিকার নীতির মাধ্যমে মেটারনিক ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সিংহাসনে বিপ্লবের পূর্ববর্তী রাজবংশগুলিকে ফিরিয়ে আনেন।
স্থিতাবস্থা ঃ রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে যাবতীয় পরিবর্তন ও সংস্কারের বিরোধিতা করে মেটারনিক স্থিতাবস্থা রক্ষা করার চেষ্টা করেন। তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাজাদের পরামর্শ দিতেন যে, রাজত্ব করবেন কিন্তু কোন সংস্কার করবেন না।
কঠোর নিয়ন্ত্রণ ঃ প্রগতিশীল চিন্তাধারার অগ্রগতি প্রতিরোধ করার জন্য মেটারনিক সংবাদপত্র, সভাসমিতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রভৃতি সবরকম ক্ষেত্রগুলিতে কঠোর সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন।
অস্ট্রিয়ার স্বার্থরক্ষা ঃ মেটারনিকের মতে বিপ্লবের ভাবধারা গুলি রাজনৈতিক মহামারির মতো এক দেশ থেকে আর এক দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এই রাজনৈতিক মহামারির হাত থেকে অস্ট্রিয়াকে বাঁচানোর জন্য মেটারনিক 'ইউরোপীয় শক্তি সমবায়ের' সহায়তায় ইউরোপের অন্যান্য দেশেও তিনি তাঁর নীতি প্রয়োগ করেছিলেন।
মূল্যায়ন ঃ নিজ রাষ্ট্র অস্ট্রিয়ার স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে মেটারনিক আধুনিক গণতান্ত্রিক ভাবধারাগুলি ধ্বংস করেছিলেন। মেটারনিকের মূল উদ্দেশ্য ছিল রক্ষণশীলতার মাধ্যমে অস্ট্রিয়ায় রাজতন্ত্র বজায় রাখা।