প্রিয় দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রী, আজ আমি তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করব প্রথম অধ্যায়ের একটি ৪ মার্কের প্রশ্ন "নতুন সামাজিক ইতিহাস কি ? কোন কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চা করা হয়"।
নতুন সামাজিক ইতিহাস -
ইতিহাসের আলোচনায় সামাজিক ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিগত শতকের আগে পর্যন্ত ইতিহাসের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল রাজা-মহারাজা, অভিজাতবর্গ, সামন্তশ্রেণি, ভূস্বামী তথা সমাজের উচ্চবর্গের মানুষদের জীবনকাহিনী। তবে বর্তমানে ইতিহাসের আলোচনার প্রসার ঘটেছে। বর্তমানে সমাজের সাধারণ, নিন্মবর্গ ও প্রান্তিক মানুষের আলচনাও ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। ফলে সামাজিক ইতিহাস পরিণত হয়েছে "নতুন সামাজিক ইতিহাস"-এ। নিন্মে নতুন সামাজিক ইতিহাসচর্চার দৃষ্টিভঙ্গি আলোচনা করা হল -
নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার দৃষ্টিভঙ্গি -
বিংশ শতকের ষাট এবং সত্তর দশকে সামাজিক ইতিহাসের আলোচনার সূচনা হয়। এই সময় থেকেই নিন্মবর্গের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সাধারণ মানুষের ইতিহাসচর্চা শুরু হয়েছিল। এর দুটি দিক লক্ষ্য করা যায়। যেমন -
(i) নীচ থেকে ওপরে দৃষ্টিপাত ঃ পূর্বে ইতিহাসের আলোচনায় ওপর থেকে নীচে দেখা হত। কিন্তু বর্তমানে নতুন সামাজিক ইতিহাসের আলোচনায় নীচ থেকে উপরের দিকে দেখার চেষ্টা করা হয়। অর্থাৎ নতুন সামাজিক ইতিহাসে সমাজকে উচ্চবর্গের মানুষের দৃষ্টিকোণের পরিবর্তে বৃহত্তর ক্ষেত্রে সাধারণ ও নিন্মবর্গের মানুষের দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করা হয়।
(ii) বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রাধান্য ঃ নতুন সামাজিক ইতিহাসে মুষ্টিমেয় উচ্চবর্গের পরিবর্তে বৃহত্তর সাধারণ জনগণ, নিন্মবর্গের ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাজ-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর অবদান নতুন সামাজিক ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে।
মূল্যায়ন ঃ সবশেষে বলা যায় যে, নতুন সামাজিক ইতিহাস উচ্চবর্গের মানুষদের পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া, প্রান্তিক ও নিন্মবর্গের মানুষদেরও ইতিহাসের পাতায় স্থান দিয়েছে। তাই সব মিলিয়ে ইতিহাস পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।
আরও পড়ুন ঃ