নারী ইতিহাসের উপর টীকা -
ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নারী সমাজের ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। প্রতিটি দেশেই নারীর স্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। অতীতে এমনটা ছিল না, কারণ নারীরা অত্যাচার, নিপীড়ন, বধূ নির্যাতন ও লাঞ্ছনার শিকার হতো। পরবর্তীকালে বিভিন্ন ভাবে নারীর অধিকার স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বর্তমানে নারীদের কাহিনী ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত।
বিভিন্ন যুগে নারীর অবস্থান -
প্রাচীন যুগ ঃ আদিম মানব সমাজ ছিল মূলত মাতৃতান্ত্রিক। এই সমাজে নারী ছিলেন সর্বময় কর্ত্রী। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীর অধিকারের অবনতি ঘটে এবং তারা পুরুষের অধীনস্থ হয়ে পড়ে। এইভাবে তাদের স্বাধীনতা ও অধিকার লোক পায়। তবে কিছু জায়গায় ব্যতিক্রম চিত্র লক্ষ্যনীয়।
মধ্যযুগ ঃ প্রাচীন যুগের মতো মধ্যযুগেও নারীদের অধিকার কম ছিল। প্রাচীন যুগে নারীর যেটুকু স্বাধীনতা ও অধিকার ছিল তা মধ্যযুগে লোপ পায়। এই সময় ধর্মীয় বাতাবরণ প্রবল হয়ে ওঠে। কিন্তু এযুগেও দুই একটি স্থানে ব্যতিক্রমী প্রভাব ছিল।
আধুনিক যুগ ঃ এ যুগে নারী জাগরণ ঘটে। শিল্প বিপ্লবের ফলে কর্মজগতের পরিধির বিস্তার ঘটেছিল। তাই পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছিল। বেশি শ্রম, কম মজুরি, নিরাপত্তার অভাব নারীদের মধ্যে সচেতনতাবোধ গড়ে তোলে। এরফলে তারা বিভিন্ন দাবি তুলতে থাকে। ধীরে ধীরে নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটে ও তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।
পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ -
ইতিহাস চর্চার মূলধারায় পুরুষদের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। সেখানে নারীদের ভূমিকা উপেক্ষিত। প্রাচীনকাল থেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে নারীরা তাদের মর্যাদা পায়নি। তাই নারীদের প্রতিবাদ ইতিহাসের অন্যতম বিষয়ে পরিণত হয়েছে।