প্রিয় ছাত্রছাত্রী, আজ আমি তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করব "গ্রামবার্তা প্রকাশিকা কেন একটি ব্যতিক্রমী পত্রিকা ছিল" / "গ্রামবার্তা প্রকাশিকা হল একটি ব্যতিক্রমী পত্রিকা - আলোচনা করো" / "সংবাদপত্র হিসাবে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো" - এই প্রশ্নটি।
গ্রামবার্তা প্রকাশিকা একটি ব্যতিক্রমী পত্রিকা -
১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে হরিনাথ মজুমদার এই পত্রিকাটি প্রথম সম্পাদনা করেছিলেন। এই পত্রিকাটিকে বাংলার গ্রামীণ সংবাদপত্রের জনক বলা হয়। এই পত্রিকাটি ভিন্ন গোত্রের বা ব্যতিক্রমী ছিল। কারণ - সব পত্রিকাগুলিই কলকাতা বা অন্যান্য শহরের থেকে প্রকাশিত হতো। আর এইসব পত্রিকাগুলিতে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষের খবর থাকতো। শহরের মানুষেরাই এইসব পত্রিকা কিনত। কিন্তু এক্ষেত্রে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা ছিল ভিন্ন প্রকৃতির।
গ্রামের মানুষের কথা প্রচার ঃ এই পত্রিকায় গ্রাম্য সাধারণ কৃষক পরিবারের কথা প্রকাশ করা হত। এর থেকে সমকালীন সময়ের গ্রামের মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার কথা জানা যায়।
শোষণ ও অত্যাচার ঃ গ্রামের মানুষদের উপর জমিদার, মহাজন ও নীলকর সাহেবদের শোষণ ও অত্যাচারের কথা গ্রামবার্তা প্রকাশিকা গুরুত্ব সহকারে প্রচার করত।
নারীদের অবস্থার উন্নতি ঃ নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ও তাদের উন্নতির জন্য গ্রামবার্তা প্রকাশিকা সবসময় সচেষ্ট ছিল।
মূল্যায়ন ঃ ডাকঘরে মানি অর্ডার ব্যবস্থা প্রচলন -এর কথা এই পত্রিকাতে প্রথম উত্থাপিত হয়েছিল। সংবাদপত্র যদি সমসাময়িক যুগের দর্পণ হয়, তাহলে বলতেই হয় এই পত্রিকা সত্যি সমকালীন বাংলার গ্রামের জীবনের যথার্থ দর্পণ বা প্রতিচ্ছবি হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
আরও পড়ুন ঃ
১. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকায় সমকালীন বাংলার কিরূপ সমাজচিত্র ফুটে উঠেছে লেখ