সমাজ সংস্কার আন্দোলনে কেশবচন্দ্র সেনের অবদান / ব্রাহ্ম আন্দোলনে কেশবচন্দ্র সেনের অবদান -
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কেশবচন্দ্র সেন ব্রাহ্মসমাজে যোগদান করেছিলেন। উদ্যম ও বাগ্মিতার ফলে তিনি ব্রাহ্মণ আন্দোলনকে একটি নতুন রূপ দিয়েছিলেন। ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে 'ব্রহ্মানন্দ' উপাধি দিয়েছিলেন। কেশবচন্দ্র সেন ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রথম অব্রাহ্মণ আচার্য। তিনি ব্রাহ্মসমাজের আদর্শ প্রচার করার উদ্দেশ্যে দি ইন্ডিয়ান মিরর নামক একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন।
অবদান ঃ কেশবচন্দ্র সেন -এর উদ্যোগে ব্রাহ্মসমাজের সমাজসংস্কার আন্দোলন একটি নতুন মাত্রা পায়। তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, অস্পৃশ্যতা, বর্ণপ্রথার বিরুদ্ধে এবং বিধবাবিবাহ, অসবর্ণ বিবাহের সমর্থনে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।
তাঁর আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে তিন আইন পাস করে। এই আইন বলে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হয় এবং অসবর্ণবিবাহ আইন সিদ্ধ হয়।
তিনি নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীদের কল্যাণের জন্য সচেষ্ট ছিলেন। নারীদের কল্যাণের জন্য তিনি ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মিকা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
কেশব চন্দ্র সেন শ্রমিকদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটান ও মদ্যপানের বিরুদ্ধে ও প্রচার করেন।
ব্রাহ্ম সমাজের আন্দোলনের ফলে সমাজের নারীদের অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল। সমাজে জাতিভেদ প্রথা, অস্পৃশ্যতা, গোঁড়ামি ইত্যাদি হ্রাস পায়। এইসব কাজে অবদানের জন্য কেশবচন্দ্র সেন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আরও পড়ুন ঃ