মেকলে মিনিট বা মেকলে প্রস্তাব কি

মেকলে মিনিট কি / মেকলে প্রস্তাব কি -

ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে মেকলে মিনিটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন -এর সভাপতি ও আইনসচিব থমাস ব্যাবিংটন মেকলে পাশ্চাত্য শিক্ষার সপক্ষে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং -এর কাছে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছিলেন। এই বিখ্যাত প্রতিবেদনটি 'মেকলে মিনিট' নামে পরিচিত।
 

মেকলে মিনিটের প্রেক্ষাপট ঃ

     ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে বলা হয়, কোম্পানি ভারতের শিক্ষাখাতে কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা ব্যয় করবে। এই বিষয়ে নীতি নির্ধারণের জন্য ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন গঠিত হয়েছিল। 

     জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন বা জনশিক্ষা কমিটি সরকারি অর্থ ব্যয় করা বিষয়ে প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদী নামে দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

মেকলে মিনিটের বক্তব্য ঃ মেকলে মিনিটের প্রধান বক্তব্য হল -

     (i) পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রাচ্যের তুলনায় উৎকৃষ্ট।

     (ii) এদেশের সমাজ ও সভ্যতা কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা চালু হওয়া উচিত। 

     (iii) এদেশের উচ্চ শ্রেণীর লোকেরা পাশ্চাত্য শিক্ষায় গ্রহণ করলে তাদের মাধ্যমে নিচু তলায় সেই শিক্ষার বিস্তার ঘটাবে। একে শিক্ষায় 'চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলা হয়।

     (iv) মেকলে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত এমন একটি ভারতীয় শ্রেণী তৈরি করতে চেয়েছিলেন যারা রক্ত ও বর্ণে ভারতীয় হবে, কিন্তু রুচি, নৈতিকতা ও বুদ্ধিবৃত্তিতে হবে ইংরেজ। 

     (v) মেকলেডর মতে ভারতে ইংরেজি ভাষা প্রবর্তিত হলে ব্রিটিশদের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মচারী নিয়োগ করা সহজ হবে। 

মূল্যায়ন ঃ মেকলে মিনিটের ফলে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের সপক্ষে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের সরকারি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।

আরও পড়ুন ঃ


Post a Comment

Previous Post Next Post