প্রিয় ছাত্রছাত্রী, আজ আমি তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করব "এদেশে চিকিৎসাবিদ্যার প্রসারে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভূমিকা কি ছিল" / "বাংলায় চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভূমিকা কি ছিল" / "ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কি ভূমিকা ছিল" - এই প্রশ্নটি।
ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভূমিকা -
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভারতে আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যা চর্চার বিকাশে কলকাতা মেডিকেল কলেজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ইউরোপীয় চিকিৎসাবিদ্যা ঃ কলকাতা মেডিকেল কলেজে ইউরোপীয় চিকিৎসাবিদ্যা শেখানো হতো। এই চিকিৎসাবিদ্যা ছিল প্রচলিত ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যার থেকে অনেকাংশে অন্যতম। তাই ভারতে এই চিকিৎসাবিদ্যার জনপ্রিয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
সরকারি সহায়তা লাভ ঃ ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিদ্যার প্রসারে কলকাতা মেডিকেল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার কারণ ছিল ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা। ব্রিটিশ সরকার পাশ্চাত্যের আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজে প্রচুর অর্থ সাহায্য করতেন।
খ্যাতনামা ডাক্তার তৈরি ঃ কলকাতা মেডিকেল কলেজ ভারতের অনেক খ্যাতনামা ডাক্তার তৈরি করেছে। এই কলেজ থেকে প্রথম ব্যাচে ডাক্তারি পাস করেছিলেন উমাচরণ শেঠ, রাজকৃষ্ণ দে, দ্বারকানাথ গুপ্ত প্রমুখ। যারা পরবর্তীকালে বিভিন্ন অঞ্চলে চিকিৎসা বিদ্যার চর্চা করেছিলেন ও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
হাতে কলমে শিক্ষা ঃ কলকাতা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। এই উদ্দেশ্যে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে এখানে শবব্যবচ্ছেদ করা হয়। এই শবব্যবচ্ছেদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মধুসূদন গুপ্ত।
মূল্যায়ন ঃ কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রতিবছর আধুনিক পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিদ্যা লাভ করে বহু ছাত্র দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসকের কাজে যুক্ত হয়। এই কলেজ থেকে পাস করার পর অনেকে আরও বেশি শিক্ষা লাভের জন্য বিলিতে ডাক্তারি পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। এক কথায় বলতে গেলে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ভারতের চিকিৎসা বিদ্যার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি নবযুগের সূচনা করেছিল।
আরও পড়ুন ঃ