প্রিয় ছাত্রছাত্রী, আজ আমি তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করব "আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চায় সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব লেখ"- এই প্রশ্নটি।
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চায় সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব -
যেকোন দেশের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে লিখিত উপাদানের গুরুত্ব রয়েছে। লিখিত উপাদানের মাধ্যমে আমরা সেই দেশ বা জাতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব তথ্যই পেয়ে থাকি। লিখিত উপাদান গুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সরকারি নথিপত্র। নিন্মে আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনায় সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব আলোচনা করা হল -
আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনা সম্পর্কে তথ্য ঃ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীরা সরকারি কাজকর্ম নিয়ে বিভিন্ন চিঠিপত্র লেখালেখি করেন ও নোট দেন। সরকারি মহাফেজখানায় বা লেখ্যাগারে এইসব নথি সংরক্ষিত থাকে। এইসব নথিপত্র থেকে সরকারের বিভিন্ন কাজকর্ম সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। নথিগুলি থেকে বিভিন্ন ঘটনার ধারণা পাওয়া যায়, যার ওপর ভিত্তি করে সেই ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হয়। যেমন - জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার আগে ভারতীয়দের মনে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ জমা হয়েছিল। একথা তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউম বিভিন্ন সরকারি নথি থেকে জানতে পারেন। তেমনই তৎকালীন ভারতের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার কথাও সরকারি নথি থেকে পাওয়া যায়।
বৈপ্লবিক তৎপরতা ও অন্যান্য সামাজিক অবস্থার পরিচয় ঃ গোয়েন্দা, পুলিশ প্রভৃতি বিভাগের প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিফলন ঘটে। মানুষের অভাব, দারিদ্র, চুরি, ডাকাতি এবং অপরাধপ্রবণতা থেকে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ ও হত্যা ঘটে। এই ঘটনাগুলিই সমাজের অস্থিরতা বা স্থিতিশীলতা, আইন শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক অচলায়তনের পরিচয় দেয়। এছাড়া সরকারি নথিপত্র থেকে বৈপ্লবিক তৎপরতা, রাজনৈতিক আন্দোলনের বহু তথ্য পাওয়া যায়।
কৃষক ও শ্রমিক আন্দোলনের পরিচয় ঃ সরকারি নথিপত্রের সাহায্য গ্রহণ করে ঐতিহাসিক ও গবেষকরা বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত কৃষক ও শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস রচনা করেন।
আরও পড়ুন ঃ