শহরের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কলকাতার গুরুত্ব -
আধুনিক ইতিহাস চর্চায় শহরের ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার ভৌগলিক অবস্থান, ব্যবসাবাণিজ্য, রাজনৈতিক ভূমিকা প্রভৃতি সম্পর্কে তথ্যবহুল আলোচনাই হল শহরের ইতিহাস চর্চার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ভারতের শহরগুলির মধ্যে শহরের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কলকাতার গুরুত্ব অপরিসীম।
ঔপনিবেশিক শহর হিসাবে কলকাতা ঃ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসকেরা কলকাতাকে প্রথমে তাদের ব্যবসাবাণিজ্য সংক্রান্ত কার্যকলাপ ও পরে ঔপনিবেশিক শাসনের মূল কেন্দ্রে পরিণত করেছিল। এভাবেই পরবর্তীকালে কলকাতা শহরে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটে।
সংস্কৃতি চর্চার পীঠস্থান ঃ কলকাতা ঔপনিবেশিক কালপর্ব থেকেই সংস্কৃতিচর্চার পীঠস্থান হিসাবে পরিচিত লাভ করে। বিভিন্ন জাতি ও ভাষাভাষী মানুষের সংস্কৃতির মেলবন্ধন কলকাতাকে একটি অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূল কেন্দ্র ঃ কলকাতা ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মূল কেন্দ্র। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের কেন্দ্র হিসাবে কলকাতার গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে কলকাতা অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসাবে কাজ করেছিল।
মূল্যায়ন ঃ কলকাতা শহরের উদ্ভব, বিবর্তন প্রক্রিয়া এই শহরকে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলন্ধনে আধুনিক ইতিহাস চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। তাই শহরের ইতিহাসে কলকাতার গুরুত্ব অসীম।