ইতিহাসের উপাদান হিসাবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব আলোচনা করো

প্রিয় ছাত্রছাত্রী, আজ আমি তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করব দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায় থেকে একটি ৪ মার্কের প্রশ্ন "ইতিহাসের উপাদান হিসাবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব আলোচনা করো" / "আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কেন" / "আত্মজীবনী কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে" / "স্মৃতিকথা কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসাবে ব্যবহার হতে পারে" / "ইতিহাসের উপাদান হিসাবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার ভূমিকা"। 



ইতিহাসের উপাদান হিসাবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব হল -

ইতিহাস লেখার জন্য বিভিন্ন উপাদানের সাহায্য নিতে হয়। এই উপাদান গুলির মধ্যে কিছু আছে লিখিত উপাদান এবং কিছু আছে অলিখিত উপাদান। লিখিত উপাদানের মধ্যে আত্মজীবনী এবং স্মৃতিকথা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা হল এক ধরণের সাহিত্য। এগুলি হল একটি জীবনী গ্রন্থ। এখানে লেখক তাঁর নিজের দৃষ্টিতে দেখা বিভিন্ন ঘটনা লিপিবদ্ধ করেন। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা-মূলক গ্রন্থ গুলিতে লেখকের নিজের কথার সঙ্গে সঙ্গে সমকালীন সময়ের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা সম্পর্কে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে, যা ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে বিশেষ উপযোগী। এই সব গ্রন্থে উল্লিখিত অতীতের স্মৃতি গুলিকে বর্তমানের নিরিখে যাচাই করা হয় ফলে আদর্শগত মানসিক দ্বন্দ্ব সংঘাত স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নিন্মে ইতিহাসের উপাদান হিসাবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব আলোচনা করা হল -

  • আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা আধুনিক মানুষের কথা, লেখকের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, কোন কোন ঘটনার বিবরণী প্রভৃতি ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যের জোগান দেয়।
  • আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ গুলি থেকে রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নধর্মী ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। 
  • বৃহত্তর ও জাতীয় ইতিহাসের ক্ষেত্রে বহু উপেক্ষিত বিষয়ের ওপর আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার তথ্য গুলি আলোকপাতে সাহায্য করে।
  • স্থানীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এই উপাদান গুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

মূল্যায়ন ঃ সবশেষে বলা যায় যে, আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থে লেখকের সময়কার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কথা উঠে আসে। ফলে ইতিহাস অতিরঞ্জিত হতে পারে না। তাই বলা যায় ইতিহাসের উপাদান হিসাবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব অপরিসীম।

1 Comments

Previous Post Next Post