দৃশ্য শিল্পের ইতিহাসকে কেন নিরপেক্ষ উপাদান বলা হয়

দৃশ্য শিল্পের ইতিহাসকে নিরপেক্ষ উপাদান বলার কারণ -

ইতিহাস রচনা এবং ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপাদানের সাহায্য নিতে হয়। ইতিহাসের এই উপাদান গুলি সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকে। যেমন - প্রত্যক্ষ উপাদান ও পরোক্ষ উপাদান। প্রত্যক্ষ উপাদানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল দৃশ্যশিল্প। দৃশ্যশিল্পের উপাদান হল ইতিহাসের একটি নিরপেক্ষ উপাদান। দৃশ্যশিল্প আধুনিক ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। যখন কোন দৃশ্যমান বিষয় আমাদের দৃষ্টিনন্দন হয়, তখন তা আমাদের মনে আবেগ অনুভূতির সৃষ্টি করে। এই আবেগ, অনুভূতিগুলি যখন ছবি আঁকার মাধ্যমে ফুটে ওঠে তখন তা শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় দৃশ্যশিল্প। ইতিহাস চর্চার একটি নিরপেক্ষ উপাদান হিসাবে দৃশ্যশিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। নিন্মে দৃশ্যশিল্পের ইতিহাসকে নিরপেক্ষ উপাদান বলার কারণগুলি আলোচনা করা হল -

অবিকৃত ঘটনার বিবরণ ঃ দৃশ্যশিল্পের মাধ্যমে আমরা সূচনাকাল থেকে শুরু করে যেকোন অবস্থার অবিকৃত রূপ পেয়ে থাকি। যা পরবর্তীকালে কোনরকম প্রক্ষেপণ বা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এরফলে ইতিহাসের যেকোন ঘটনা বা মুহূর্ত আমাদের কাছে চিরকাল একইরকমই থাকে।

সমকালীন প্রতিচ্ছবির প্রকাশ ঃ পাথর বা ধাতুর পাত কিংবা মাটি বা কাগজের ওপর আঁকা ছবি গুলি থেকে আমরা সমকালীন সমাজের মানুষের জীবনধারার প্রতিচ্ছবি পায়। যা ইতিহাসের উপাদান হিসাবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। আলোকচিত্র অর্থাৎ ক্যামেরাবন্দি ছবির ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য।

মূল্যায়ন ঃ সুদূর অতীত থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনাকে জিবন্ত রাখতে দৃশ্যশিল্প নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছে। এগুলি মানুষের কথা বলে, তাদের মননের কথা বলে, যা আধুনিক ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।

আরও পড়ুন ঃ

Post a Comment

Previous Post Next Post