প্রিয় ছাত্রছাত্রী, আজ আমি তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করব "হুতোম প্যাঁচার নকশা - এরূপ নামকরণের কারণ কি ?" - এই প্রশ্নটি।
কালীপ্রসন্ন সিংহ রচিত একটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল 'হুতোম প্যাঁচার নকশা'। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থটি ব্যঙ্গবিদ্রূপাত্মক সামাজিক নকশা জাতীয় একটি রচনা, যা তৎকালীন সমাজের ফন্দিফিকির করে অর্থ উপার্জন করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিদ্রুপ করে লেখা।
নামকরণ ঃ হুতোম প্যাঁচার নকশা-র রচয়িতা কালীপ্রসন্ন সিংহের ছদ্মনাম ছিল 'হুতোম প্যাঁচা'। নকশা শব্দের অর্থ হলো হাস্যরসাত্মক রচনা বা ব্যঙ্গ রচনা। তাই কালীপ্রসন্ন সিংহ তার রচিত নকশার নামকরণ করেছিলেন 'হুতোম প্যাঁচার নকশা।
নামকরণের কারণ ঃ কালীপ্রসন্ন সিংহের 'হুতোম প্যাঁচার নকশা ' একটি সার্থক রচনা। যেহেতু প্যাঁচা একটি নিশাচর পাখি, তাই সে রাতের অন্ধকার জগতের সব খবর জানে। যে সব মানুষের মানসিকতা দুই রকম - সকলের সামনে ভালো আবার আড়ালে খারাপ, অথবা দিনে ভালো, রাতের অন্ধকারে খারাপ ; তাদের কুকীর্তি ফাঁস করতে খুব প্যাঁচার জুড়ি নেই।
আবার মানুষ হুতোম প্যাঁচার ডাকে ভয়, পাই তাই কালীপ্রসন্ন সিংহ তার সমকালের ধনী সমাজের ভন্ডামি ও কপটতা প্রকাশ করতে যেসব নকশা লিখেছেন, তার নামকরণ করেছেন হুতোম প্যাঁচার নকশা।
মূল্যায়ন ঃ কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থটি বাংলার তৎকালীন সমাজের জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন ঃ