আধুনিক ইতিহাস চর্চায় পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করো

আধুনিক ইতিহাস চর্চায় পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস -

খাদ্য ও বাসস্থানের মত পোশাক পরিচ্ছদও মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ন্ত্রিত হয় সাধারণত ভৌগলিক পরিবেশের দ্বারা। কোন এলাকার মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদের মাধ্যমে সেই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক, সাংস্কৃতিক অবস্থা, ভৌগলিক ও ধর্মীয় বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা পাওয়া যায়। নিন্মে আধুনিক ইতিহাস চর্চায় পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করা হল -

পোশাকের বৈচিত্র্য ঃ সূচনাকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদের বদল ঘটেছে। আবার ভৌগলিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদের বিভিন্নতা চোখে পড়ে। অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে ইউরোপে নারী ও পুরুষের পোশাকে বিশেষ বৈচিত্র্য আসে। ভারতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের নারী পুরুষরা বিভিন্ন ধরণের পোশাক পড়েন। 

  • পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে ইতিহাস চর্চা করার উদ্দেশ্যে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে দি অ্যাসোসিয়েশন অফ ড্রেস হিস্টোরিয়ানস প্রতিষ্ঠা করা হয়।
  • ষোড়শ শতকে জার্মানির অগসবার্গ শহরের ম্যাথেউস সোয়ার্জ অনেক ধরণের পোশাক সংবলিত করে একটি বই প্রকাশ করেন।
  • বাঙালির বেশবাস, বিবর্তনের রূপরেখা গ্রন্থে লেখক মলয় রায় বাঙালিদের পোশাক-পরিচ্ছদ ও তার বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন।
  • পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হল এমা টারলো-র লেখা ক্লোথিং ম্যাটারস ঃ ড্রেস অ্যান্ড আইডেন্টিটি ইন ইন্ডিয়া।

পোশাক পরিচ্ছদের মাধ্যমে কোন অঞ্চলের মানুষের সামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। বর্তমানে মানুষ তার নিজের ইচ্ছামত পোশাক পড়লেও ঐতিহ্যগত পোশাক-পরিচ্ছদ সামাজিক ও ধর্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছে। 

আরও পড়ুন ঃ

Post a Comment

Previous Post Next Post