খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব -
মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান উপাদান হল খাদ্য। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে ইতিহাস চর্চায় খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাসের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নে খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব আলোচনা করা হল -
মানুষের খাদ্যের পরিবর্তন ঃ সূচনালগ্ন থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কি পরিবর্তন ঘটেছে এবং কিভাবে পরিবর্তন ঘটেছে তা খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস থেকে জানা যায়।
খাদ্যের উৎসের সন্ধান ঃ একটি অঞ্চলের খাবার কিভাবে অন্য আরএকটি অঞ্চলের মানুষ আপন করে নিয়েছে বা এক দেশের মানুষের খাদ্য অন্য দেশের মানুষ কিভাবে গ্রহণ করেছে, খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে তা জানা যায়। যেমন খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে জানা যায় ভারতীয়রা পর্তুগিজদের কাছ থেকে আলু খাওয়া শিখেছে।
জনগণ সম্পর্কে ধারণা ঃ কোন অঞ্চলের মানুষদের আর্থিক অবস্থা, ধর্ম, সংস্কৃতি, নারীর মর্যাদা ইত্যাদি সম্পর্কে জানার জন্য সেই অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস চর্চার প্রয়োজন হয়।
বৈদেশিক যোগাযোগ ঃ কোন অঞ্চলের মানুষদের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের মানুষদের কিভাবে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তার ধারণা পাওয়া যায় খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস থেকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মোঘল, পর্তুগিজদের প্রভাবে ভারতীয়দের কাছে নতুন নতুন খাবারের পদ সৃষ্টি হয়।
সংস্কৃতি পরিচয় ঃ কোন দেশে বসবাসকারী জাতি বা সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক দিক সম্পর্কে জানতে হলে খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাসের মাধ্যমে আমরা সেই অঞ্চলের মানুষদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, রুচিবোধ সম্পর্কে জানতে পারি।
মূল্যায়ন ঃ খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাসের মাধ্যমে কোন অঞ্চলের জনজাতির আর্থিক অবস্থা, ধর্ম, বৈদেশিক যোগাযোগ, সংস্কৃতি প্রভৃতি নানা দিক সম্পর্কে জানা যায়। তাই নতুন সামাজিক ইতিহাসের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন ঃ