চুঁইয়ে পড়া নীতি বলতে কি বোঝ / চুঁইয়ে পড়া নীতি কি / ডাউনওয়ার্ড ফিলট্রেশন থিওরি / ক্রমনিম্ন পরিস্রুত নীতি কি -
চুঁইয়ে পড়া নীতি -
১৯ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব হলো ডাউনওয়ার্ড ফিলট্রেশন থিওরি বা শিক্ষায় চুঁইয়ে পড়া নীতি। জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে এই নিম্নমুখী অভিস্রাবন তত্ত্বের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
পটভূমি ঃ ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ভারতীয় শিক্ষাখাতে অন্তত এক লক্ষ টাকা ব্যয় করার কথা বলা হয়। এই টাকা প্রাচ্য বা পাশ্চাত্য কোন খাতে ব্যয় করা হবে তা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এরপর জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে এই বিরোধের মীমাংসা করেন এবং পাশ্চাত্য শিক্ষাখাতে সরকারি অর্থ ব্যয় করার কথা বলেন।
ডাউনওয়ার্ড ফিলট্রেশন থিওরি বা চুইয়ে পড়া নীতি ঃ মেকলে বলেন, সমাজের উচ্চবর্গের কিছু মানুষ পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হলে তাদের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সমাজের নিচের স্তরে শিক্ষা ছড়িয়ে পড়বে। ফলে সমাজের নীচের স্তরের মানুষরাও শিক্ষিত হবে। একইভাবে তারা আবার তাদের আরও নিম্নের অংশের মানুষকে শিক্ষিত করবে। পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে এই তত্ত্বই ডাউনওয়ার্ড ফিলট্রেশন থিওরি বা ক্রমনিম্ন পরিশ্রুত নীতি নামে পরিচিত।
চুঁইয়ে পড়া নীতির গুরুত্ব ঃ পাশ্চাত্য শিক্ষায় ফিলট্রেশন থিওরির গুরুত্ব -
(i) কম খরচে শিক্ষা ঃ এই নীতির ফলে কম খরচে শিক্ষার প্রসার ঘটানো সম্ভব হবে।
(ii) অধিকাংশ মানুষের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঃ এই তত্ত্বের মাধ্যমে সমাজের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানো সম্ভব হবে।
মূল্যায়ন ঃ বাস্তবে ডাউনওয়ার্ড ফিলট্রেশন থিওরি কার্যকর হয়নি। পরিবর্তে সমাজের শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে ব্যবধান আরও প্রকট আকার ধারণ করেছিল।
আরও পড়ুন ঃ