কোল বিদ্রোহের গুরুত্ব বা ফলাফল -
ছোটনাগপুর অঞ্চলে বসবাসকারী কোলরা ১৮৩১-৩২ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ, জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল তাকে কোল বিদ্রোহ বলা হয়। নিম্নে কোল বিদ্রোহের গুরুত্ব বা ফলাফল গুলি আলোচনা করা হল -
দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি গঠন ঃ ব্রিটিশ সরকার উপজাতি কোলদের বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হলেও তাদের নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল। সরকার ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে কোল উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত এলাকা নিয়ে কোলদের জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি নামে একটি অঞ্চল গঠন করেছিল।
কোলদের স্বাধিকার রক্ষা ঃ কোলদের ঐতিহ্যগত রীতিনীতির ওপর হস্তক্ষেপ কোল বিদ্রোহের অন্যতম কারণ ছিল। তাই ব্রিটিশ সরকার কোলদের নিজস্ব বিষয়ে আর হস্তক্ষেপ করবে না বলে নীতি গ্রহণ করেছিল।
বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ঃ কোলদের শোষণ ও অত্যাচার করত বহিরাগত জমিদার, মহাজন শ্রেণির মানুষজন। বিদ্রোহের পরবর্তীকালে কোলদের ওপর বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ব্রিটিশ আইন রদ ঃ ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করেছিল যে, কোলদের এলাকায় আর ব্রিটিশ আইন কার্যকর হবে না। কোলরা তাদের নিজস্ব আইন ও প্রথার দ্বারা পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন ঃ