চুয়াড় বিদ্রোহের ফলাফল বা গুরুত্ব -
১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, মানভূম, ধলভূম প্রভৃতি অঞ্চলের কৃষক ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষেরা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল তাকে চুয়াড় বিদ্রোহ বলে। ১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছর ধরে এই বিদ্রোহ চলেছিল। নিম্নে চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব বা ফলাফল আলোচনা করা হল -
অন্যান্য বিদ্রোহের পথপ্রদর্শক ঃ চুয়াড় বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের প্রথম দিকে। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত এই বিদ্রোহ ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের বিদ্রোহীদের উৎসাহিত করেছিল।
জমিদার ও কৃষক ঐক্য ঃ চুয়াড় বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল জমিদাররা। জমিদারদের নেতৃত্বে কৃষকরা ব্রিটিশবিরোধী এই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
বিদ্রোহী জমিদারদের সঙ্গে আপস ঃ ব্রিটিশ সরকার দমনপীড়নের মাধ্যমে চুয়াড় বিদ্রোহ দমন করতে না পেরে অবশেষে বিদ্রোহী জমিদারদের সঙ্গে আপস মীমাংসার পথ বেছে নেয়। সরকার এই অঞ্চলে নিলামের মাধ্যমে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার নীতি ত্যাগ করেছিল।
'জঙ্গলমহল' জেলা গঠন ঃ চুয়াড় বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার ১৮ নং রেগুলেশন জারি করে উপদ্রুত অঞ্চলগুলি নিয়ে জঙ্গলমহল নামে একটি নতুন জেলা গঠন করে। এই জেলার সদর দপ্তর হয় বাঁকুড়া। নবগঠিত জঙ্গলমহল জেলার প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছিলেন হেনরি স্ট্র্যাচি।।
আরও পড়ুন ঃ