পাঠ প্রণালীর বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো (Discuss about nature of reading process.)
উত্তর ঃ পঠন - এই শব্দটিকে বিভিন্ন জনে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। যদি 'পঠন' -কে একটি পদ্ধতি বা Process হিসাবে ধরা হয় তাহলে তিন ধরণের অর্থের কথা ভাবতে হয়। নিন্মে এই তিনটি ধরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল -
১. স্পষ্টভাবে উচ্চারিত বোধগম্য অবস্থা, সঠিক উচ্চারণ, কথা বলা, বিবৃত করা ইত্যাদি।
২. অনুবাদ করা, শনাক্ত করা, পাঠোদ্ধার করা, ছিন্নকরণ ইত্যাদি।
৩. বোঝা, ব্যাখ্যা করা, বোধগম্য করা, অর্থ অনুসন্ধান করা ইত্যাদি।
প্রথম পর্যায়ের ব্যাপারটি হল প্রথম শিক্ষার্থীদের জন্য, যারা সবেমাত্র সরবে পড়তে শিখেছে অর্থাৎ ৩-৪ বছ্রের শিক্ষার্থীদের জন্য।
দ্বিতীয় পর্যায়ের শব্দগুলি শনাক্তকরণের জন্য অনুবাদমূলক পদ্ধতির ওপর নির্ভর করতে হয়। এগুলি প্রাথমিক পর্বের শিক্ষার্থীদের জন্য।
তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কোন Text বা বিষয়ের অর্থ বোঝার চেষ্টা করে, তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে এবং বিষয়টির একটি ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করে। মাধ্যমিক এবং উচ্চপর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই পর্যায়ে পড়ে।
আসলে এই পঠন প্রক্রিয়া খুব সোজা বলে মনে হলেও বাস্তবে তা নয়। বাস্তবিক পক্ষে এটি শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার যুগপৎ প্রক্রিয়াবিশেষ। এর কারণ কোন একটি লিখিত বিষয়ের কথা ভাবা যাক। উদাহরণস্বরূপ একটি প্রবন্ধকে নিতে পারি। এই প্রবন্ধটিকে পড়তে আমাদের কয়েকটি ধাপ অব্লম্বন করতে হয়। প্রথমে অক্ষরগুলিকে চিহ্নিত করতে হয় এবং পড়ে শব্দগুলিকে পরপর সাজিয়ে একটি অর্থপূর্ণ বাক্যে পরিণত করতে হয়। দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি উপাদানের সমবায়ে পঠন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়। পঠনের এই উপাদানগুলিকে Sub-skills বলে।